ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম-২০২৪

 ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম-২০২৩

আমাদের দেশের অনেক নাগরিককে ব্যবসা, চাকুরী, পড়ালেখা, চিকিৎসা নানা কারণে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হয়। বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনসটির প্রয়োজন হয় তা হলো পাসপোর্ট। পাসপোর্ট করার কথা শুনলে অনেকেই চিন্তায় পড়েযান। আসলে নিয়ম জানা থাকলে পাসপোর্ট করা খুবই সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজে নিজের ই-পাসপোর্ট নিজে করতে পারবেন। পাসপোর্ট সাধারণত তিন প্রকারঃ

 

o  কূটনৈতিক বা ডিপ্লোম্যাটিক লাল পাসপোর্ট: দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও যারা বিদেশী মিশনে কর্মরত আমলা সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ)।

o   নীল রং এর পাসপোর্টকে বলা হয় অফিসিয়াল পাসপোর্ট:  যারার সরকরি চাকুরীরত আছে তাদের জন্য। অফিসিয়াল পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে অনুমোদন বা গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রয়োজন হয়

o    অর্ডিনারী বা সবুজ পাসপোর্ট: দেশের অন্যন্য সকল সাধারণ নাগরিকদের জন্য সবুজ পাসপোর্টকে বলা হয় অর্ডিনারি পাসপোর্ট।

-পাসপোর্ট আবেদনের ৫(পাঁচ) টি ধাপঃ

ধাপ-১ : আপনার বর্তমানে বসবাসরত এলাকায়  ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না দেখুন । 

বর্তমানে নিম্নলিখিত পাসপোর্ট অফিসগুলিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে। আপনার এলাকায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে কিনা চেক করার জন্য নিম্নের লিংকে প্রবেশ করুন: https://www.epassport.gov.bd/landing/notices/33

 ১। আগারগাওঁ

২। যাত্রাবাড়ি

৩। উত্তরা

৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

৫। বাংলাদেশ সচিবালয়

৬। গাজীপুর

৭। মনছুরাবাদ

৮। ময়মনসিংহ

৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১০। গাইবান্ধা

১১। গোপালগঞ্জ

১২। মানিকগঞ্জ

১৩। নরসিংদী

১৪।নোয়াখালী

১৫। ফেনী

১৬। চাঁদগাওঁ

১৭। কুমিল্লা

১৮। মুন্সিগঞ্জ

১৯। সিলেট

২০। মৌল্ভিবাজার

২১। সুনামগঞ্জ

২২। হবিগঞ্জ

২৩। যশোর

২৪। খুলনা

২৫। কুষ্টিয়া

২৬। বি-বাড়িয়া

২৭। রাজশাহী

২৮। চাপাইনবাবগঞ্জ

২৯। বগুড়া

৩০। রংপুর

৩১। দিনাজপুর

৩২। নওগাঁ

৩৩। জয়পুরহাট

৩৪। বরিশাল

৩৫। পটুয়াখালি

৩৬। পাবনা

৩৭। সিরাজগঞ্জ

৩৮। কিশোরগঞ্জ

৩৯। নাটোর

৪০। মাগুরা

৪১। নড়াইল

৪২। লক্ষ্মীপূর

৪৩। টাঙ্গাইল

৪৪। জামালপুর

৪৫। শেরপুর

৪৬। নেত্রকোনা

৪৭। মাদারীপুর

৪৮। ফরিদপুর

৪৯। রাজবাড়ি

৫০। ঝিনাইদহ

৫১। সাতক্ষীরা

৫২। বাগেরহাট

৫৩। ভোলা

৫৪। বরগুনা

৫৫। চুয়াডাঙ্গা

৫৬। ঝালকাঠি

৫৭। কুড়িগ্রাম

৫৮। লালমনিরহাট

৫৯। মেহেরপুর

৬০। নীলফামারী

৬১। পঞ্চগড়

৬২। পিরোজপুর

৬৩। শরিয়তপুর

৬৪। ঠাকুরগাঁও

৬৫। বান্দরবান

৬৬। চাঁদপুর

৬৭। কক্সবাজার

৬৮। খাগড়াছড়ি

৬৯। নারায়নগঞ্জ

৭০। রাঙামাটি

৭১। ঢাকা পূর্ব (মোহাম্মদপুর)

৭২। ঢাকা পশ্চিম (আফতাবনগর)

 

ধাপ-২ : অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করুন।

অনলাইনে আবেদন করার জন্য নিম্নের লিঙ্কে প্রবেশ করুন: https://www.epassport.gov.bd/onboarding

অনলাইনে প্রবেশ করে আপনার ব্যক্তিগত ইমেল ব্যবহার করে একটি একাউন্ড সাইনআপ করে লগ ইন করে নিন তারপরে অনলাইনে আপনার যাবতীয় তথ্য ধাপে ধাপে সতর্কতার সাথে সঠিকভাবে পুরণ করে সাবমিট করুন ফরম পূরণ করার সময় কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়ঃ

o   ফরম পূরণ করার সময় কোথাও (.) ডট, (,) কমা, (-) ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না যদি আপনার এনআইডতে (MD.) থাকে তাহলে আপনি শুধু মাত্র MD ব্যবহার করুন মনে রাখবেন ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে (.), (-), (,) ব্যবহার করা হয়না

o   আপনার এনআইডি, জন্মনিবদ্ধন অথবা সার্টিফিকেট সব জায়গায় নাম, পিতার নাম, মাতার নাম একই বানান রয়েছে কিনা তা মিলিয়ে নিন মনে রাখবেন আপনার এনআইডি অথবা জন্মনিবন্ধন নাম্বার দিলে সার্ভার থেকে আপনার সকল তথ্য সংক্রিয়ভাবে সন্নিবেশিত হবে।

o   Given name এর জায়গায় আপনার নামের প্রথাম অংশ Surname এর জায়গায় আপনার নামের শেষের অংশ পূরণ করুন। আপনার নামে যদি শুধু একটা অংশ থাকে তবে শুধু Surname অংশ পুরন করুন।

o   স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে আপনার পিতার স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিবেন। স্থানীয় ঠিকানা প্রমাণের ক্ষেত্রে আপনাকে পুলিশ ভেরিভেকশনের সময় দালিলিক প্রমাণ দেখতে পারে। সেই ক্ষেত্রে স্থানীয় ঠিকানা প্রমাণের জন্য জমির দলীল অথবা ফ্লাটের দলিল দেখানোর প্রয়োজন হতে পারে।

o   ফরম পূরণ করা হয়েগেলে আপনি সকল তথ্য পুনরায় মিলিয়ে নিন। তার পরে সব ঠিক থকালে সাবমিট করুন। সাবমিট করার পরে আর কোন তথ্য এডিট করার সুযোগ থাকেনা।

o   এরপরে আপনি আপনার পুরণকৃত আবেদনটির একটি পিডিএফ ফরমেট দেখতে পাবেন সেটি ডা্উনলোড করে প্রিন্ট করুন এবং স্বাক্ষর করে নিন।

 

ধাপ-৩ : পাসপোর্ট ফি পরিশোধ । 

পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধের জন্য বর্তমানে অনলাইনে ছাড়াও ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দেওয়া যায়।

পাসপোর্ট এর মেয়াদ ও পৃষ্ঠার সংখ্যা

রেগুলার (টাকা),

২১দিন সময়

এক্সপ্রেস (টাকা),

১০ দিন সময়

সুপার এক্সপ্রেস,

০২দিন সময়

৫ বছর, ৪৮ পৃষ্ঠা

৪০২৫

৬৩২৫

৮৬২৫

৫ বছর, ৬৪ পৃষ্ঠা

৬৩২৫

৮৬২৫

১২০৭৫

১০ বছর, ৪৮ পৃষ্ঠা

৫৭৫০

৮০৫০

১০৩৫০

১০ বছর, ৬৪ পৃষ্ঠা

৮০৫০

১০৩৫০

১৩৮০০

 ই-পাসপোর্ট ফি এর তালিকা

ধাপ-৪ : ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ  

o   ফি পরিশোধ করার পরে সকল ডকুমেন্টস ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। অফিসে গিয়ে ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিলে আপনাকে একটি এনরোলমেন্ট স্লিপ দেবে সেটি সংরক্ষণ করুন।  

 

-পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসকল ডকুমেন্টস দরকার তা হলোঃ

o  অনলাইন আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি

o  যদি পূর্বের পাসপোর্ট থাকে সেটির কপি।

o  জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কার্ড অথবা জন্মনিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি।

o  বিবাহিতদের ক্ষেত্রে কাবিন নামা অথবা ম্যারেজ সার্টিফিকেট এর কপি।  

o  ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার রশিদ বা প্রমান পত্র।

o  আপনি যদি সরকারি কর্মচারি হন তাহলে প্রতিষ্ঠানের NOC।

ধাপ-৫ : পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ  

আপনার দেওয়া সময় অনুযায়ী ডেলিভারী স্লিপ/রশিদ: এনরোলমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর প্রদেয় স্লিপ  নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে গিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

আপনি নিজে না যেতে পারলে একটি অথরাইজেশন লিটার বা অনুমোদিত পত্রে স্বাক্ষর করে আপনার প্রতিনিধির(নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে আনতে হবে) কাছে দিলে তিনি পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে পারবেন।




Post a Comment (0)
Previous Post Next Post